জামালপুর সরিষাবাড়ী ইউএনও উপমা ফারিসার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ তুলে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন করেছে নাগরিক কমিটি।
 শনিবার (২১ জানুয়ারি)  পৌরসভার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন  করে ভূক্তভোগিরা ওই ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে শ্লোগানে মুৃখরিত করে তোলে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
ইউএনও’র বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের ৩০-৪০% কমিশন বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেনামি একাউন্টের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা স্থানান্তরসহ দুর্নীতির আলামত নষ্টের জন্য অগ্নিকাণ্ড ও চুরির ঘটনা সাজানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মানবন্ধনে ইউএনও উপমা ফারিসা ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট সরিষাবাড়ীতে যোগদানের পর থেকে টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপিসহ উপজেলা পরিষদের সরকারি বরাদ্দে নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকাশ্য ঘুষ লেন-দেনের অভিযোগ করেন । দুর্নীতির আলামত নষ্ট করতে গতবছরের ১৬ এপ্রিল সকালে ইউএনও’র কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়। পরে ঘটনাটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হিসেবে প্রকাশ করেন।
অপরদিকে সহকারী কমিশনার-ভূমির (এসিল্যান্ড) পদটি গতবছরের ১৬ আগস্ট শূন্য হওয়ার পর ইউএনও উপমা ফারিসা অতিরিক্ত এসিল্যান্ডের পেয়ে  জমিজমার প্রতিটি খারিজে উৎকোচ আদায়সহ করে আসছেন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি গোপন করতে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা ভূমি অফিস ও পার্শ্ববর্তী কামরাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় থানায় দায়সারা সাধারণ ডায়েরি করা হলেও কোনো ক্লু উদ্ঘাটন হয়নি।
এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও অনিয়ম ঢাকতে সরকারি দপ্তরের কোনো তথ্য দেন না তিনি। এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় বক্তারা তাঁর দ্রুত অপসারণ দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরিষাবাড়ী নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলু প্রমুখ।
ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।